টেস্ট ক্রিকেটের সূচনা ১৮৭৭ সালে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস শুরু হয়, সেই ম্যাচেই পাওয়া যায় প্রথম শততম স্কোরকারী। এরপর তিন দশক পর, ১৯০৮ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখে ১০০তম ম্যাচে। এক বছর পরে প্রথম দল হিসেবে নিজেদের ১০০তম টেস্ট খেলে ইংল্যান্ড। তবে কোনও ক্রিকেটারের ১০০তম টেস্ট দেখার অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও ছয় দশকের বেশি সময়, সেটি হল ১৯৬৮ সাল। সেই বছর এজবাস্টনে ইতিহাসের ৬৩৯তম টেস্টে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্টে অংশ নেন মাইকেল কলিন কাউড্রে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করে নিজের মাইলফলককে আরও উজ্জ্বল করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। এখন পর্যন্ত মোট ৮২ জন ক্রিকেটার ১০০ বা তার বেশি টেস্ট খেলেছেন। আজ মিরপুরে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম সেই তালিকার ৮৪তম সদস্য হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি হবেন বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার, যিনি ১০০টি টেস্টের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। এর আগে আটটি দেশের ক্রিকেটাররা এই সাফল্য অর্জন করেছেন। সবচেয়ে বেশি ১৭ জন ক্রিকেটার আছেন ইংল্যান্ডের ১০০ টেস্ট ক্লাবের সদস্য হিসেবে। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যেখানে ১৬ জন খেলোয়াড় আছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, যেখানে ১৪ জন ক্রিকেটার আছেন। ইংল্যান্ডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দল হিসেবে পায় ১০০ টেস্ট খেলার মর্যাদা। ১৯৮৪ সালে দলের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড এই ক্লাবে প্রবেশ করেন। একই বছর ভারতের সুনীল গাভাস্কারও প্রথম ১০০ টেস্ট খেলোয়াড়ের তালিকায় স্থান পান। পরে নিজ নিজ দেশের হয়ে ১০০ টেস্টে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়রা হলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালান বোর্ডার, পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের স্টিভেন ফ্লেমিং।