, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বিপিএলে বিজয়-সৈকতদের বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন অ্যালেক্স মার্শাল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময়ের পরে গতকাল (রোববার) বিপিএলের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। এই নিলামে ১২তম আসরের জন্য উচ্চমূল্যে ক্রিকেটারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে নিলামের শুরু থেকেই গত আসরের ফিক্সিংয়ের সন্দেহে থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে লাল তালিকাভুক্ত সাতজন ক্রিকেটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এই বিষয়টি গত দুই দিন ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত তার পরামর্শেই অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বাইরে রাখা হয়েছে। নিলামের আগে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অতীতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট স্বাধীন তদন্ত কমিটির বিশদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বোর্ডের সভাপতি সম্প্রতি একটি ইন্টিগ্রিটি ইউনিট গঠন করেছেন। বিপিএল আসর সামনে রেখে আমি গভর্নিং কাউন্সিলকে কিছু ব্যক্তির নাম সুপারিশ করেছি, যারা এই বছর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া উচিত নয়। এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ মাত্র। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পুনর্বিবেচনা চালাচ্ছি, তখন কিছু ব্যক্তিকে দূরে রাখাই নিরাপদ বলে আমি মনে করি। আমাদের দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিরাপদ রাখা, বিশেষ করে এই মুহূর্তে দ্বাদশ বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আপনি মাঠে গিয়ে আইপিএল দেখুন কিংবা টেলিভিশনে বিপিএল উপভোগ করুন—প্রত্যেক ক্ষেত্রেই উচ্চমানের খেলা এবং সততা, স্বচ্ছতা বজায় থাকা জরুরি। আমি ঠিক সেইটাই চাই।’

প্রথমে তিনি দুর্নীতি দমন পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, পরে বিভাগটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য এই নীতিমালা বাধ্যতামূলক। এতে স্পষ্ট করে বলা আছে, কোন লঙ্ঘন কীভাবে চিহ্নিত হবে এবং অপরাধীদের জন্য শাস্তি বা পরিণতি কী হতে পারে। এই কোডটি কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। বাস্তবায়নে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’ আইসিসির এই সাবেক কর্মকর্তা সবাইকে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য এই নীতিমালা পড়ার আহ্বান জানান, ‘বিশ্বস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে, গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্ত চালানো হবে। ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে এই কোড পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি আপনি আগেই এটি পড়েননি, তাহলে দয়া করে এখনই আবার পড়ুন। পুরোপুরি বোঝার জন্য এটি জরুরি।’

ক্রিকেটের নীতিমালা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকলে বা এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। এই বিষয়টি আবারো মনে করিয়ে দিলেন মার্শাল, ‘যেকোনো ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা তথ্য পান, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের জানানো বাধ্যতামূলক। অতীতের সন্দেহজনক ঘটনা সম্পর্কেও যত দ্রুত সম্ভব আমাদের জানান। আমরা বুঝি, অনেক তরুণ খেলোয়াড় তখন চাপ অনুভব করেছিলেন, সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়েছে বা নিরুপায় হয়েছিলেন। এখন এগিয়ে আসুন এবং আমাদের জানান। আপনার দেওয়া তথ্য গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা বজায় রেখে গ্রহণ করা হবে। খেলাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, কিছু ব্যক্তির এই আসরটিকে (বিপিএল) টার্গেট করার চেষ্টা থাকতে পারে।’


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপিএলে বিজয়-সৈকতদের বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন অ্যালেক্স মার্শাল

আপডেট সময় ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময়ের পরে গতকাল (রোববার) বিপিএলের নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। এই নিলামে ১২তম আসরের জন্য উচ্চমূল্যে ক্রিকেটারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে নিলামের শুরু থেকেই গত আসরের ফিক্সিংয়ের সন্দেহে থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে লাল তালিকাভুক্ত সাতজন ক্রিকেটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এই বিষয়টি গত দুই দিন ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মূলত তার পরামর্শেই অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের বাইরে রাখা হয়েছে। নিলামের আগে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অতীতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট স্বাধীন তদন্ত কমিটির বিশদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বোর্ডের সভাপতি সম্প্রতি একটি ইন্টিগ্রিটি ইউনিট গঠন করেছেন। বিপিএল আসর সামনে রেখে আমি গভর্নিং কাউন্সিলকে কিছু ব্যক্তির নাম সুপারিশ করেছি, যারা এই বছর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া উচিত নয়। এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ মাত্র। তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পুনর্বিবেচনা চালাচ্ছি, তখন কিছু ব্যক্তিকে দূরে রাখাই নিরাপদ বলে আমি মনে করি। আমাদের দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিরাপদ রাখা, বিশেষ করে এই মুহূর্তে দ্বাদশ বিপিএলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আপনি মাঠে গিয়ে আইপিএল দেখুন কিংবা টেলিভিশনে বিপিএল উপভোগ করুন—প্রত্যেক ক্ষেত্রেই উচ্চমানের খেলা এবং সততা, স্বচ্ছতা বজায় থাকা জরুরি। আমি ঠিক সেইটাই চাই।’

প্রথমে তিনি দুর্নীতি দমন পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, পরে বিভাগটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য এই নীতিমালা বাধ্যতামূলক। এতে স্পষ্ট করে বলা আছে, কোন লঙ্ঘন কীভাবে চিহ্নিত হবে এবং অপরাধীদের জন্য শাস্তি বা পরিণতি কী হতে পারে। এই কোডটি কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। বাস্তবায়নে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।’ আইসিসির এই সাবেক কর্মকর্তা সবাইকে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য এই নীতিমালা পড়ার আহ্বান জানান, ‘বিশ্বস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সাথে, গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্ত চালানো হবে। ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে এই কোড পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি আপনি আগেই এটি পড়েননি, তাহলে দয়া করে এখনই আবার পড়ুন। পুরোপুরি বোঝার জন্য এটি জরুরি।’

ক্রিকেটের নীতিমালা বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকলে বা এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো বাধ্যতামূলক। এই বিষয়টি আবারো মনে করিয়ে দিলেন মার্শাল, ‘যেকোনো ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা তথ্য পান, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের জানানো বাধ্যতামূলক। অতীতের সন্দেহজনক ঘটনা সম্পর্কেও যত দ্রুত সম্ভব আমাদের জানান। আমরা বুঝি, অনেক তরুণ খেলোয়াড় তখন চাপ অনুভব করেছিলেন, সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়েছে বা নিরুপায় হয়েছিলেন। এখন এগিয়ে আসুন এবং আমাদের জানান। আপনার দেওয়া তথ্য গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা বজায় রেখে গ্রহণ করা হবে। খেলাকে নিরাপদ রাখতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন, কিছু ব্যক্তির এই আসরটিকে (বিপিএল) টার্গেট করার চেষ্টা থাকতে পারে।’


প্রিন্ট