বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে এবং প্লেয়ার্স অকশনে না রাখার প্রতিবাদে বিসিবিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি ও উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে এই নোটিশ তিনি নিজেই হস্তান্তর করেছেন, যদিও এটি একজন আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। ন্যায়বিচার পেতে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে চেষ্টা চালাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গত আসরে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা এই ক্রিকেটার। সোমবার (১ ডিসেম্বর) মিরপুরের ক্রিকেটের কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হন এনামুল হক বিজয়। গণমাধ্যমের সামনে তিনি কোনও কিছু গোপন করেননি। ক্ষোভের সুরে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে তিনি সর্বোচ্চ স্তরে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তাঁর কথাতেই বোঝা যায়, দাগ লেগে থাকা কালির দাগ মুছে ফেলার জন্য তিনি আপোষ করবেন না। তবে বিষয়টি শুধু মর্যাদার নয়, এর সঙ্গে তার জীবিকা এবং রোজকার জীবনের সম্পর্কও জড়িত। বিপিএলের গত আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। তার সাথে আরও আট খেলোয়াড়ের নাম আসে। এজন্য বিপিএলের ১২তম আসরের খেলোয়াড় নিলামে তাদের নাম ছিল না। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইদোর্টে রিট করলে কোনও প্রতিকার পাননি তিনি। এবার ডকুমেন্ট, কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি উপস্থিত হন ক্রিকেট বোর্ডে। বিসিবিতে উপস্থিত হয়েও তিনি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতিকে। একই চিঠি পাঠানো হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও। যে অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি লড়ছেন, সেই দায় থেকে মুক্তি পেতে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন গত আসরে রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা এই ক্রিকেটার। বিজয় বলেন, “আমি বিসিবিকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে। আমি বিসিবিতে গিয়ে এটি জমা দিয়েছি। বিসিবি এটি গ্রহণ করেছে। আমার ডকুমেন্ট রয়েছে—আমি কোন নোটিশ জারি করেছি, তার বিস্তারিত। সেখানে আমার আইনজীবীর নাম্বারও দেওয়া আছে। যদি আপনারা (সাংবাদিকরা) কিছু জানার থাকলে অবশ্যই তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।” বিজয় অপেক্ষা করছেন এই আইনি নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি উত্তর না আসে, তাহলে হয়তো তিনি মামলার পথে হাঁটবেন। এর প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন বিপিএলের উপরও।