অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জয় লাভ করে ৮২ রানে। এর ফলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম অ্যাশেজ সিরিজের জিতল। প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টে তারা জিতেছিল ৮ উইকেটে। শেষবার তারা অ্যাশেজ জিতেছিল ২০১৫ সালে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১১ সালে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণে জেমি স্মিথ ও জ্যাকসের জুটি ছিল মূল হুমকি, এরপর ব্রাইডান কার্স-জ্যাকসের জুটি তাদের জন্য নতুন বিপদ সৃষ্টি করে। শেষ দুই ব্যাটসম্যান হিসেবে স্মিথ ও জ্যাকস চতুর্থ দিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২ ও ১১ রানে। ৪ উইকেট হাতে রেখে তাদের সামনে ছিল আরও ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন নাথান লায়ন। চতুর্থ দিন তার বলে টার্ন উঠছিল, ফলে লায়ন ইংল্যান্ডের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেন। ওই দিন তিনি ৩ উইকেট লাভ করেন। লায়ন হয়তো ফাইফারের স্বপ্ন দেখছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৭৭তম ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পরে জানা যায়, এই ম্যাচ থেকেই তিনি ছিটকে যান। ইংল্যান্ডের মনোবল কি তখন কিছুটা বেড়ে যায়? হয়তো বেড়েছিল। তবে স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সামনে সেটা টেকেনি। ৬০ রান করে বিপজ্জনক হয়ে উঠা স্মিথকে মিচেল স্টার্ক প্যাট কামিন্সের ক্যাচে পরিণত করেন। এরপরের উইকেটও তার। স্মিথের বিদায়ের পর আরও শক্তভাবে জ্যাকস রান সংগ্রহ করেন। রান তুলে নিচ্ছিলেন কার্স। ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ তখন একশর নিচে নেমে আসে। জ্যাকস ব্যক্তিগত ৪৭ রানে স্টার্কের অফসাইডের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে নেন মার্নাস লাবুশেনের হাতে। ৯৭ রানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ডের ম্যাচ এখানেই শেষ হয়ে যায়। জফরা আর্চার মাত্র ১৪ বল টিকে থাকতে পারেন, রান ৩। ব্রাইডান কার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন, ৬৪ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৯ রান করেন। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের শিকার করেন ৩ উইকেট। আলেক্স ক্যারের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ৩৭১ রান। এরপর ইংল্যান্ডকে ২৮৬ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৯ রান করে, তাদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৩৫। দ্বিতীয় ইনিংসে ট্রাভিস হেড করেন সেঞ্চুরি।