, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থী নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার Logo শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে ৩৬ দিন লেগেছে আপনাদের সরাতে ৩৬ মিনিট ও লাগবেনা – মানববন্ধনে বক্তারা Logo নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২ Logo নওগাঁয় বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে পড়ে এক মিস্ত্রির মৃত্যু Logo নওগাঁয় ধর্ষন ও আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের মানববন্ধন Logo নওগাঁয় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নওগাঁয় মধ্যরাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি Logo সালাহউদ্দিন ছাড়া সকল উপদেষ্টা অপদার্থ- মিনু Logo নওগাঁয় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সৌদি, ওমান ও কাতার যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

২০২২ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নতুন এই আইনেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আইনটির বিরোধিতা করে বলেন, এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অনিবার্য।

আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে বর্তমানে মোট ১,৩৪০টি স্পিচ অফেন্স মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা বিচারাধীন। নতুন সিদ্ধান্তের অধীনে, এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তাধীন মামলাগুলোতে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, বিচারাধীন মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নাগরিক সমাজ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটি নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

২০২২ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নতুন এই আইনেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আইনটির বিরোধিতা করে বলেন, এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অনিবার্য।

আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে বর্তমানে মোট ১,৩৪০টি স্পিচ অফেন্স মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা বিচারাধীন। নতুন সিদ্ধান্তের অধীনে, এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তাধীন মামলাগুলোতে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, বিচারাধীন মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নাগরিক সমাজ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটি নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”


প্রিন্ট