, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় ভুয়া পুলিশ চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নওগাঁয় ব্যতিক্রমীভাবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ নৌকাবাইচ ও হাঁস খেলা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা: নওগাঁয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্টিত জেলায় এ বছর ৮৮১টি মন্ডপে শারদ উৎসব পালিত হবে Logo নওগাঁয় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

২০২২ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নতুন এই আইনেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আইনটির বিরোধিতা করে বলেন, এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অনিবার্য।

আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে বর্তমানে মোট ১,৩৪০টি স্পিচ অফেন্স মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা বিচারাধীন। নতুন সিদ্ধান্তের অধীনে, এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তাধীন মামলাগুলোতে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, বিচারাধীন মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নাগরিক সমাজ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটি নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশে বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

২০২২ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু নতুন এই আইনেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হ্রাস এবং ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনের অধীনে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলাকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আইনটির বিরোধিতা করে বলেন, এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অনিবার্য।

আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে বর্তমানে মোট ১,৩৪০টি স্পিচ অফেন্স মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা বিচারাধীন। নতুন সিদ্ধান্তের অধীনে, এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তদন্তাধীন মামলাগুলোতে দ্রুত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, বিচারাধীন মামলাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো এবং নাগরিক সমাজ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এটি নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”


প্রিন্ট